• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • রোববার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩১ ভাদ্র ১৪৩১

বিমানভ্রমণ ছাড়াই ২০৩ দেশ ঘুরে বিস্ময়কর রেকর্ড

বিমানভ্রমণ ছাড়াই ২০৩ দেশ ঘুরে বিস্ময়কর রেকর্ড

ফিচার ডেস্ক

পৃথিবীর যেকোনো দেশ ভ্রমণ করতে বিমান খুবই প্রয়োজনীয় ও জনপ্রিয় বাহন। প্রতিবেশী দেশ ছাড়া দুর-দুরান্তের দেশভ্রমণে বিমান ছাড়া কল্পনা করা কঠিন। কিন্তু এমন যদি হয়, ২০৩টি দেশ ভ্রমণ করলেন, কিন্তু কখনোই বিমানে চড়লেন না। ব্যাপারটি অবাক করার মতো হলেও এটিই করেছেন ভ্রমণপিপাসু এক ব্যক্তি। বিস্ময়কর এই ব্যক্তির নাম থর। তিনি ডেনমার্কের নাগরিক।

ভ্রমণকালে এই ব্যক্তি কখনো কার্গো জাহাজ, স্পিডবোট, বাস, ট্রাক, ট্রেন, হাতে চালানো নৌকা, ঠেলাগাড়ি এমনকি উটের পিঠেও সওয়ার হয়েছেন। কিন্তু তিনি কখনোই বিমানে উঠেননি। বিমানে না উঠে বিশ্বভ্রমণের রেকর্ড তাই মি. থরের দখলে।

থরের বিশ্বভ্রমণ নিয়ে বিস্ময়কর তথ্য

⇒ ২০১৪ সাল থেকে পরবর্তী ১০ বছরে তিনি একাধারে নিজ দেশের বাইরে রয়েছেন।

⇒ বিশ্ব মানচিত্র নিয়ে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তিনি বিমানে সফর ছাড়াই পৃথিবীর সকল দেশ ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নেন।

⇒ ২০১৪ সালের ১০ অক্টোবর সকাল ১০টা ১০ মিনিটে তিনি ঘর থেকে বিশ্বভ্রমণের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েন।

⇒ একটি ব্যাগ, একজোড়া জুতা, মোবাইল ফোন, ভিডিও ক্যামেরা নিয়ে তিনি নিজ দেশ ডেনমার্ক ছাড়েন।

⇒ এবং মি. থর সিদ্ধান্ত নেন, বিশ্ব ভ্রমণের এই মিশন শেষ না করে তিনি নিজ দেশ ডেনমার্কে কখনোই ফিরবেন না।

⇒ যাত্রাকালে মি. থর ৩৩৬টি বাসে চড়েছেন। ১৫৮টি ট্রেন ও ২৫টি কনটেইনার জাহাজে তিনি যাত্রী হয়েছেন।

⇒ এমনকি যানবাহন না পেয়ে তিনি ৮টি ট্রাকে চেপে বসেছেন ভিন্ন দেশ ভ্রমণের নেশায়।

⇒ মি. থরের এই দীর্ঘ ভ্রমণকালে গড়ে তিনি প্রতিদিন ২০ মার্কিন ডলার খরচ করেছেন।

বিস্ময়কর পরিব্রাজক থরের সফর যেমন ছিল

» মি. থরের এই চ্যালেঞ্জিং সফর মোটেই সুখকর ছিল না। তিনি কখনো ভিসা জটিলতায় পড়েছেন, কখনো যুদ্ধরত দেশে গিয়ে পড়েছেন।

» সমুদ্রে থাকা জাহাজে মাসেরও অধিক সময় তিনি ভাসমান থেকেছেন শুধু মাত্র ভিসা জটিলতার কারণে।

» এমনকি আফ্রিকার দেশ কঙ্গো যাওয়ার পথে তিনি অস্ত্রধারীদের হাতে জিম্মিও হয়েছিলেন।

» ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত মি. থর আর মাত্র ৯টি দেশ ভ্রমণ থেকে দূরে ছিলেন। তবে বর্তমানে তিনি ২০৩টি দেশ সফর সম্পন্ন করেছেন।

মি. থরের বার্তা

নাস ডেইলিকে দেয়া বার্তায় ভ্রমণপিপাসুদের তিনি জানিয়েছেন, তার এই কাজে উদ্বুদ্ধ হয়ে কেউ যেন তার মতো ঝুঁকি না নেন। কারণ, তার এই যাত্রাকাল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, বিপদসংকুল ও ব্যয়বহুল ছিল।

তিনি বলেছেন- ‘আপনারা নিজেদের মতো করে প্রচুর ঘুরতে যান, ঘুরে বেড়ান। নতুন কিছু দেখুন, নতুন কিছু শিখুন। নতুন পরিবেশ ও নতুন সমাজে গিয়ে দাঁড়ান। এটাই দারুণ অভিজ্ঞতা ও শিক্ষা।’

২৮ আগস্ট ২০২৪, ০৫:১৩পিএম, ঢাকা-বাংলাদেশ।