যবের ছাতু পুষ্টি জাদু

প্রতিকী ছবি
গ্রাম বাংলার ঐহিত্যবাহী একটি খাবার ‘যবের ছাতু’। এটির স্বাদ অনন্য। পুষ্টিগুণে ভরা যবের ছাতুর সঙ্গে গুড়, চিনি অথবা অন্য কোনো উপাদান মিশিয়ে খাওয়া হয়। শিশুখাদ্য হিসেবেও যবের কদর রয়েছে। আমাদের দেশে বর্তমানে যবের চাষ কমে গিয়েছে।
যব কি ও কেমন
যবের ইংরেজি নাম ‘বার্লি’। বাংলায় এটি পায়রা নামেও পরিচিত। এটি গম জাতীয় একধরনের শস্য দানা। যব পিষে গুঁড়ো করে ছাতু বানানো হয়। গমের স্বাদ মিষ্টি ও ঠান্ডা ধরনের হলেও যবের স্বাদ ভিন্ন। এতে রয়েছে মালটোজ, গ্লুকোজ, স্যাকারিন, লেসিথিন, এল্যানটয়েন, এমাইলেস এবং ভিটামিন-বি এর মতো উপাদান।
পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
মার্কিন স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথ লাইন ও হেলথ বেনিফিট টাইমস-এ প্রকাশিত নিবন্ধে বলা হয়েছে, প্রতি ১০০ গ্রাম যব বা যবের ছাতুতে রয়েছে- ক্যালরি- ৯৬ গ্রাম, ফ্যাট- ১ গ্রাম, স্যাচুরেটেড ফ্যাট- ১ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট- ২২ গ্রাম, প্রোটিন- ২ গ্রাম, খাদ্যআঁশ- ৩ গ্রাম, সোডিয়াম- ২ মিলিগ্রাম এবং ম্যাঙ্গানিজ- ১ মিলিগ্রাম।
যব ওজন কমায়: ওজন কমাতে চাইলে যবের ছাতু খান। এটি দ্রুত ক্ষুধা লাগার প্রবণতা কমায়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে: রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে যবের ভূমিকা ব্যাপক। যবের গুড়ো দিয়ে চা খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
কোলেস্টেরল কমায়: এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ফ্রি র্যাডিকেলগুলো থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে। ফলে কোলেস্টেরলের স্তর নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে: যবে রয়েছে ফোলেট, লোহা, তামা এবং ম্যাঙ্গানিজের মত পুষ্টিকর প্রয়োজনীয় উপাদানে ভরপুর। ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।
মানসিকতা চাঙ্গা রাখে: নিয়মিত যব বা যবের ছাতু খেলে দেহের ব্যাকটেরিয়া নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে এটি দেহের কোষের ক্ষতি ঠেকায়। ফলে মানসিকতা চাঙ্গা থাকে।
হজমশক্তি বৃদ্ধি করে: হজমশক্তি বাড়ায় যব। এটি অন্ত্রের নড়াচড়া বাড়ায় ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
মুত্রনালির প্রদাহ দূর করে: মূত্রনালির সংক্রমণ ঠেকাতে যব কার্যকরী। এটি নিয়মিত খেলে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া দূর হয়।
লিভার ভালো রাখে: চিকিৎসা গবেষকরা বলছেন, দেহকে বিষমুক্ত রাখতে যবের চা এর জুড়ি মেলা ভার। যবে থাকা পাইরাজিন নামের বিশেষ উপাদান রক্ত শুদ্ধ রাখে।
তথ্যসূত্র: হেলথ লাইন ও হেলথ বেনিফিট টাইমস।